আমাদের বাড়ির সামনে একটা টগরগাছ ছিল। ‘ছিল’ বলছি এইকারণেই যে বাড়িটা এখন আছে,
সেখানে শুধু আমি বা ওই টগরগাছটা নেই। ওই বিশাল বড় গাছটা
জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো বাগানের এক কোণে। সামনে তিনটে লম্বা লম্বা সুপারি গাছের
তিনটে সমান্তরাল ছায়ায় ঢাকা পড়তো তার চোখমুখ। শীতের সকালগুলোতে ওই গাছটার পাশে
একটা টুলে বসে আমি রোদ পোয়াতাম। ঘাসগালিচার আনাচে কানাচে পড়ে থাকতো টগর ফুলগুলো। নীল হাফপ্যান্ট, আর সাদা জামা পড়ে ইস্কুল যাওয়ার সময় মাকে খুব জোরে বলি,
যাচ্ছি। মা বলতো–
যাচ্ছি বলেনা, বল আসছি। মাথা নেড়ে বলি ঠিক আছে। গেট থেকে বেড়িয়ে যেতে যেতে
হাত নাড়ি ওই টগর গাছের দিকে। গাছটা এক অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে দেখে আমার চলে যাওয়া।
No comments: