যারা এখনো শুধুই বন্ধু, বন্ধুর চেয়ে বেশী হয়েও অন্ধ, কিংবা জানালার একটা পাল্লা বন্ধ, একটু ভাল আর একটু মন্দ

তাদের জন্যেই কিছু এবড়ো খেবড়ো ছন্দ, তাদের জন্য কবিতা-গল্প, অল্প স্বল্প প্রেম, আড্ডা, হঠাৎ মেঘ এবং বৃষ্টি।

অসমাপ্ত কবিতারা

ব্যস্ততার ভৃত্যতা করছি বেশ কদিন হল। বিক্ষিপ্ত বলা ছাড়া জীবনটা যে খুব একটা ভয়ংকর তা-ও নয়। মানুষ জিজ্ঞাসা করলে বলিচলছে। কিন্তু চলতে চলতে অনেক সময়েই ছায়াগুলোকে পেছনে ফেলে আসা হয় বা ছায়াই হয়তো আমার জন্যে অপেক্ষা করে। এই পোস্ট কোন কবিতা নিয়ে নয় বরং সামাজিক হবার প্রচেষ্টার। নেটওয়ার্কিং সাইটে কাঁটানো স্বস্তি বা অস্বস্তিকর সময়গুলির মাঝে যে কবিতারা এসেছে এবং হারিয়ে গেছে তাদের নিয়েই। এরা শেষ হয়নিহয়তো হবে না কখনোই। থাকুক না এভাবেই। সকলের স্বাধীণতা আছে। কবিতারা বা এমন কী দোষ করল। থাকুক না ইচ্ছে মতো-
১।
মাঙ্গলিক ক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। বুড়ো অশ্বথ গাছটি আজ তোমার নক্ষত্র মৈথুনের শিকার। নিকুচি করি জ্যোতিষ শাস্ত্রের। আমি বখতিয়ারের খুলিতে চা ঢালতে ঢালতে ঘোষণা দেই তুমি এখনো ঘোর অপয়া।
২।
সাত পেগ মদের পর গাধাকেও পিতৃব্য বলে ঠ্যাকেআর তোমার সত্যিগুলো টিকটিকির ল্যাজের মতো খঁসে। তুমিতো রীতিমত ভালবাসার উপযুক্ত হয়ে ওঠো!
৩।
আমার প্রতিটি চুমুতে উঠে আসে মুঠো মুঠো গার্নিয়া লাইট হোয়াইটেনিং। শুনেছি এক্স ফর ফিমেইল না-কি দারুণ সাহসিকা। আমি ডুবে যাই লা সেনজা বা পুসি গ্ল্যামোরের মোহজালে।
৪।
তোমার চেয়ে তোমার প্রসাধণী-ই আমাকে বেশি উত্তপ্ত করে।
৫।
আমাকে ক্ষমা করে দিওতোমার বিচ্ছেদ আমার কাছে বেশি বিশস্ত মনে হয়।
৬।
তোমার সাথে আলাপ করবার ইচ্ছে রইলো আবার
তোমার গাত্র চুষে দেখেছি লবনাক্ত এবং বৈচিত্র্যহীণ
তোমার জাফরান রঙা আস্তিন হতে মাটি ছুঁই ছুঁই করা
ঘাম আর আরশোলার সঙ্গমক্রিয়া আমি পরম যত্নে তুলে রাখি ইঞ্চি বোতলে
৭।
আমার কলেজের সংস্কৃতি ম্যগাজিনের শেষ পাতার নগ্ন বক্ষা চরিত্রটিকে হটিয়ে তোমার ফুলস্কেপ ছবি দেখে ভাবি দাঁড়কাককে নক্‌টানল হিসেবে কল্পনা করলে পৃথিবীর অধিকাংশ সমস্যার সমাধান হতো।
৮।
পৃথিবীতে জনবিষ্ফোরণ ঘটায় তোমার নগ্ন প্রেমিক,
কেউ কখনো জানবে না তৃতীয়সপ্তমদুশ ষোল এবং সাতশ’ ছিয়াশিতম সন্তানটি ছিল জারজ।
৯।
শিয়রে প্রস্তুত নরখাদকের দল.
তোমার-আমার সঙ্গমে মৃত্যু হবে একটি ভালবাসার
আজ রতিগন্ধ চাপা পড়ে যায় জেনারেটরের কেরোসিনে
৯।
গতকাল আমার মৃত্যু ঘটেছিল। শহরের দুএকটি অভূক্ত কুকুর না-কি লোভ করেছিল বেশ। লাশ দেখে মানুষের সে-কি উল্লাস! ওপাড়ার আমার দুঃসম্পর্কের পাতানো বোনেরা দর করতে এসছে মৃতসঙ্গমে। সৎকার হবে ভোর পাঁচটায়। তবে বেঁচে উঠেছি শেষ বারের মতো
১০।
সন্ধ্যেটা ছিলো অদ্ভুত ও বিষাদময়
কিছুটা আনন্দ ও ঘৃণার মাঝামাঝি।

No comments: