সেদিন কে যেন বলেছিল যে
আজকালকার বাংলা সিনেমায় কিছু থাকেনা। গানগুলো জঘন্য, গল্প আরও বাজে। আমি জানিনা সে আদৌ একটা বাংলা সিনেমা দেখেছে কিনা। আসলে
বলতে গেলে লোকে যাকে বাজে বলে তার অধিকাংশই তার সম্পর্কে না জেনে হয়। যেমন ধরুন
হ্যারি পটারের একটা পাতাও না পরে “উফ্!!! জগতের সব থেকে
বোগাস্ জিনিস”। তা সে বালককে বললাম “ওরে
বাল একটা পাতাও পড়েছিস্?” গর্বের সাথে সে বলল, “ও সব বালের জিনিস আমি পড়ি না”। মানে সেটা বাজে কারন
আমার মনে হয় বাজে। আমার কাজ হল বাজে বলা তাই আমি বাজে বলব।
সে যাই হোক, আমার বিশেষ কিছু আসে যায় না তাতে। কারন ইদানীং আমি বাংলায় থাকিনা,
বাংলা সিনেমাও খুব একটা দেখা হয়না। তাই আমার পক্ষে বলা সম্ভব না যে
“চলো পাল্টাই” কেমন হল বা “তখন ২৩” বা বাংলা সিনেমাগুলো দক্ষিন ভারতীয় সিনেমা
থেকে কতখানি অনুপ্রাণিত (পড়ুন টোকা)। আগে দেখি তারপর মন্তব্য করব। কিন্তু ব্যপারটা
কি বলুনতো তুমি যদি এই Mind Setup নিয়ে যাও যে না আমি এই
সিনেমা কে খারাপ বলবই তাহলে ঐ সিনেমা হাজার ভালো হলেও তুমি সেটাকে খারাপ বলবে।
নিজের মন রাখতে না হলেও মান রাখতে অবশ্যই। সুতরাং সমস্যা হল ওখানে। সমস্যা হল
ভোটে।
এ আবার কেমনতর কথা হল? ভোট দেওয়া তো গণতান্ত্রিক অধিকার, তাতে আবার সমস্যা
কিভাবে আসবে? উত্তর আছে অন্যত্র।
সম্প্রতি দেশে আবার আওয়াজ
উঠেছে কংগ্রেস বলছে “জয় হো” যেটা
কিনা আবার ‘Slumdog Millionaire’ (পড়ুন “Slumdog
& Oscars Millioniere”) থেকে চোথা করা। সে ভালো কথা। প্রীতম
টোকাটুকি করে ফাটিয়ে দিয়েছে, দেশের সেরা মিউজিক ডিরেকটার
হয়ে যাচ্ছে আর সেটা মনমোহন করলেই দোষ? কিছুদিন পর স্পুফ
বেরোল, সেটার ও নাম একই। বের করল বিজেপি। আহা রে হাম ভি কিসি
সে কম নেহি।
পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবিরা
দাবী করেছে সি.পি.আই.এম পশ্চিমবঙ্গকে ভাঁড়ে পাঠিয়েছে (পড়ুন গাঁড়ে)। সুতরাং
পরিবর্তন চাই। তা ভালো কথা। স্টার জলসায় সায়ন আর দিপাংসু “এঞ্জয় গুরু” তে সি.পি.আই.এম কে যতরকম ভাবে সম্ভব
আওয়াজ দিচ্ছে। মীর সেটা শুনে হি হি করে হাসছে। আশা-পরিবর্তন আসছে।
তা সে আসুক। ভালো কথা।
কিন্তু একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন? এদের সব রাগ কিন্তু সি পি আই
এম এর উপর। বামফ্রন্টের উপর না। এদিকে রাজ্য চালায় ফ্রন্ট সরকার, সি.পি.আই.এম না। যদি পরিবর্তন চাও তো শুধু সি.পি.আই.এম কে সরিয়ে লাভ?
নাকি সি.পি.আই.এম গোল্লায় গেলে বাকিরা ‘দিদিভাই’
এর পায়ে তেল মালিশ করে আসবে বলে বুদ্ধিজীবীরা নিশ্চিন্ত। জানি না
বাপু।
জাদবপুরের ছেলেপুলেরা
রাজ্যের সেরা। সবাই বলে। তারা কিন্তু এস.এফ.আই কে ভোট দেয় না। সেখানে জেতে
ডি.এস.এফ (পড়ুন পি.ডি.এস.এফ)। কিংবা সায়েন্স-এ অ্যান্টি এস.এফ.আই (মানে পার্টীর
নাম না এজেনডা ভিত্তিক নাম)। আর্স এ অবশ্য এস.এফ.আই হালে পানি পায়। বুদ্ধিজীবী
মানে ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেল বা নিদেনপক্ষে সায়েন্স। কিংবা কবি সাহিত্যিক গায়ক
নায়ক আমলা মামলা অথবা মালদার আদমি।
সে যাই হোক আনন্দবাজার লিখল
জাদবপুর বা প্রেসিডেন্সিতে এস.এফ.আই পানি পায় না। মমতা উল্লাসে ফেটে পড়ে বললেন। ‘বুদ্ধিমান আজকালকার ছেলেপিলে সি.পি.আই.এম কে চায় না। জাদবপুরের সাথে ৪
বছরের সম্পর্কের ফলে জানি জাদবপুরে অনন্তকাল ধরে মানে সাম্প্রতিক অতীতে এস.এফ.আই
হেরে আসছে। তাহলে পরিবর্তন চাইছে মানেটা কি? আগে কি চাইত না?
তাহলে এস.এফ.আই হারত কেন?
যাই হোক বুদ্ধিজীবিরা বুদ্ধি
নিয়ে থাকুক। আমি থাকি আমার ফেসবুক নিয়ে।
ও বলতে ভুলে গেছি আমার
মোবাইল হারিয়ে গেছে। তাতে আমার বাল ছেড়া গেছে। হারিয়ে গেছে তো গেছে। একবার যে
যায় সে যাওয়ার জন্যই যায়, ফিরে আসার জন্য কেউ যায় না।
আমি ভাবছি নতুন একটা মোবাইল কিনব। যদিও আমার কেনার দরকার নেই। তাই ভেবেচিন্তে ঠিক
করলাম কয়েকমাস যাক, যবে বাড়ি যাব তবে কিনব। May be
E-series। May be কিছুই
না। নয়তো নোকিয়ার ডাব্বা ফোনেই চলে যাবে মনে হয়। N-series কিনে তাতে তোমার ছবি তুলে তাকে wallpaper এ save
করার বয়স চলে গেছে আমার এবং তোমারও।
No comments: