প্রথমে একটু ভূমিকা। কিছুদিন যাবৎ নিজের Personality change করতে চাওয়া আর change হওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমি খুব ভাবতে বসেছিলাম। সেই থেকেই এই লেখার শুরু। কিন্তু সময়ের সাথে সব change হয়। আমার না হয় change হওয়ার ইচ্ছেটাই change হলো। এবার তাই আমি Back to square one.
কবিতা প্রধানত দুই প্রকার। একটা হচ্ছে “দূর ভালো লাগছে না ধ্যাত্তেরিকা” বলে লিখে ফেলা আর অন্যটা হচ্ছে পড়তে বসে আরাম করে বসে লিখে ফেলা। Personally আমি second type এর কবিতার বেশী পক্ষপাতী কারন আমি live example দেখেছি কবিতা পড়ে লোকের mood ভালো হতে।
এবার তাই feel good... আমার কবিতাটা পড়ে কিছুটা হেসে “ধ্যাৎ” টা আমার কমেন্ট ভরেই থাকুক। “তেরিকা” টা না হয় এবার বাদ-ই দিলাম।
১.
রূপকথা ভালো
আমার একান্ত জাহান্নম
রূপকথা করে থাকে আলো।
শহুরে বাতাসী দুঃখটা
মেরে ফেলে যাক
আমার কলকাত্তায়া কালচে বেসিনে
নিজের বেচাল ভুল
ভালো করে চিনে
হাতমুখ ধুয়ে ফেলে ভালো করে মুছে
একবার মন টন ভালো করেই আসি।
আশ্বিন দেরী
এবারের দুর্গাপূজা একা বালকেরই
আমার আলো অকাল বোধনে
ডুব দিয়ে জল খেয়ে হঠাৎ
শোধনে রাই সন্ন্যাসী
না হয় লাগল ভালো কিছু ভিনদেশী
ভালবাসা মানে হয় কিছু বেশী বেশী
রাই সোনা আলো দাও একা এলোকেশী।
আবার শহুরে এইসব
ছোট সুখ শুধু ঘুরে ঘুরে
আরেকটু দূরে বাড়ি সব
এলোমেলো খুব ফুরফুরে
আমার স্কুল পালানো কবেকার সুরে
আজও মেলা বসে আছে রোজ রোজ পাশে
সারা কৈলাসহর জুড়ে।
২.
বিচ্ছিরি দামী আশা টাশা ভালবাসা বিবাহিত স্বামী
এদিকের ছেলেপিলে আকাশ কুসুমে কিংবা মধ্যরাতে
ঘুমে রাত কাটে সোনা অনেক হয়েছে মন বেবাক কেঁদো না।
বৃথা সন্ন্যাসী রোজ রোজ পড়ে নিয়ে আসি
শহুরে অকুল রোড বানভাসি
এর মাঝে ভালো ছেলে ভালবাসি
আঁড়ালে থাকলে ভালো নতুবা পলাশী
সাতদিন জেল খেটে পর দিন ফাঁসি।
গা বাঁচানো একা রং ঢঙ মেখে মুখে
আলোছায়া দেখা ক্যামেরা ছবি শুধু বোঝে
আমার প্রেমিকা শুধু আমাকেই খোঁজে
কিংভুত কিমাকার থেকে সব দূরে
আলতো বেসুরো আমার দুনিয়া
একা সব ছেড়ে ছুঁড়ে।
হঠাৎ আবেশে বৃদ্ধ অলস কিছু ব্যালকনি এসে
ধ্রুবতারা মেখে নিয়ে রাত জাগা চুলে
ক্লান্ত চোখ জোর করে খুলে
আবার একটিবার পাশ ফিরে শুলে
হয়তো হারিয়ে যায় এসব কিছু ক্ষণিকের ভুলে।
No comments: