লিখব বলেই আসা
কুঁড়িয়ে নেওয়া জলরং
আর ঝরাপাতা গুলো এক করে
পেছন ফিরে দেখা
বলবো বলেই আকাশ জুড়ে কথার উৎসব
লিখব বলেই আসা
একটা বছর আবার গুটি সুটি মেরে লুকিয়ে পড়ল। হারিয়ে গেল। হঠাৎ আমাদের থেকে একটু পিছিয়ে পড়লো। নাকি সঙ্গেই আছে? হয়তো থাকবে মস্তিস্কের কোনও মেটা ডাটায় সংরক্ষিত। সময় সুযোগমতো চট করে একটা পুরনো গল্পের স্লাইড সো তে ফিরে আসতে পারে ২০১০। তবে এই মুহূর্তে যখন ২০১১ সবেমাত্র ভূমিস্ট হয়ে কান্না জুড়েছে আর সেই সঙ্গে আমরা তীব্র আনন্দে লাফালাফি করছি, তখন একটু পেছন ফিরে দেখতে ইচ্ছে করছে। জীবনের সাথে ঠিক কতটা transaction করে ওঠা গেল। কোন প্রশ্ন গুলো as usual হেঁয়ালি রয়ে গেল, আর কিছু স্বপ্ন টপ্ন etc etc.
২০১০। বছর প্রচুর চাপ খেয়ে শুরু হয়েছিল। সামনে ক্যাম্পাসিং। গুছিয়েও লোড নিলাম না। আমি এবং আসেপাশের বাওয়াল বাজরা। চাপ খেয়ে মিস করলাম যাদবপুরের “FETSU”. যাক গে। তারপর Climax. উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। গতি একখান হল। সেটার জন্য ধন্যবাদ ২০১০।
ব্যস্। তারপর যার প্রেমে পড়লাম তিনি আমাদের সুপরিচিত “ল্যাদ”। ক্লাস বাঙ্ক বাড়ল। কারণ কলেজে অনেক ক্যাম্পাসিং থাকতো। যাই হোক সেমিস্টার টা ঝটপট কেটে গেল। এই প্রসঙ্গে, মানে কথা যখন উঠলই তখন ল্যাদ নিয়ে একটু আঁতলামো হোক। মানে এই ধরুন ঠিক কখন থেকে আমি বুঝলাম ল্যাদ খাওয়াটা মারাত্মক জরুরি। অবশ্যই মনে পড়ছেনা। মস্তিস্কের কোন সেক্টরে আছে সেই ইনফো। তবে ভীষণ সুখ ল্যাদ সেবনে। সর্বপরি ইহা সুস্বাদু ও সহজলভ্য। বাড়ির লোকের চ্যাঁচামেচি ও বাড়ল। একেবারে Proportionally. খাওয়া ঘুম এর Routine আরেকটু Rebellious হয়ে গেল।
এর মধ্যে ভালো ব্যাপার যা হল দুম্ করে Realize করলাম লেখালেখিটা একটু সিরিয়াস্ করলে হয়। হঠাৎ কিছু সুযোগ ও এলো। ব্যাস্ একটা নতুন ইচ্ছে মোটামুটি speed নিয়ে নিলো। বেরিয়ে পড়লো গ্যারাজ থেকে।
একটা পুরোনো ইচ্ছে, বলা ভালো Passion. ছোটবেলার। সেটাকেও Regain করা ভালো। বছর খানেক ফটোগ্রাফির সাথে সম্পর্ক ছিল না। দুম্ করেই ঠিক করে ফেললাম ফটোগুলো ঠিকঠাক করা দরকার। কদ্দুর হবে জানি না।
অনেক ঝামেলাও হল ২০১০এ। Summer Training এ চৌরাস্তা থেকে করুণাময়ী যাওয়ার সময় লাইফটা উচ্চের ঝোল হয়ে উঠেছিলো। S-4, জন্মেও ফাঁকা দেখলাম না বাসটা। তবে অনেক মজার মজার অভিজ্ঞতা আছে S-4 এ। কুমড়োপটাশ আর ডাকুর কথোপকথন (সে না বলাই ভালো)। উল্টো বৃষ্টিতে বাস না পেয়ে তারাতলায় ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা। সে অনেক অভিজ্ঞতা। IBM এর সার্টিফিকেট আনা নিয়ে তীব্র হ্যাপা। বাবা কেউ আর IBM এ ট্রেনিং করিস না। তবে একটা ভালো ব্যাপার হল ধর্মতলায় বিয়ার বার এ বিয়ার খাওয়া। বাপ রে ওয়েটারের কি কেত!!!
আর কি। হস্টেল ফিরে গেলাম। ল্যাদ খেতে খেতেই এলেন ৫ মাথা ওয়ালা রাবণ। বলে তো সেমিস্টার। আমার জীবনের অন্যতম চাপের সেমিস্টার। তবে সবচেয়ে বেশি ফাঁকি মেরেছি 7th সেমিস্টারে।
অবশেষে সেমের তিরধান এবং বাড়িতে আগমন। প্রত্যেকবার বাড়ি ফেরার আগে একটা নতুন রকম আনন্দ হয়। একই ভাবে ফিরি তবু মনে হয় প্রত্যেকবার একটা নতুন রকম ভালোলাগা থাকে। এই ভালো লাগাটুকুর জন্যে মনে হয় সবার বাইরে থাকা উচিৎ। লাইফ এ অন্তত একবার।
মোটামুটি উল্লেখযোগ্য এই ২০১০ এ অনেক সেন্টিও খেতে হয়েছে হস্টেলে কম থেকেছি বলে। যাই হোক ভালো খারাপ অনেক রাজনৈতিকবাদ হজম, মায়ের চ্যাঁচামেচি এবং হস্টেল ফেরার আগের দিন প্রত্যাশিত সেন্টি, এবং অনেক ভালো না লাগার গল্প সমেত ২০১০ মোটামুটি ভালোই প্যাকেজ ছিলো। আড্ডা মেরে শেষ হল বছরটা। কোন Resolution নেই। মানে চাপটা একটু কম খাবার চেষ্টা করব। কিন্তু এটাও জানি এটা একটু অসম্ভব ব্যাপার।
যাই হোক স্বপ্ন টপ্ন আর ইচ্ছেডানা নিয়ে, দিস্তা দিস্তা লেখালেখি নিয়ে, বেশকিছু ঠিকঠাক ফটোগ্রাফি নিয়ে, ব্লগ-অরকুট- টুইটার- ফেসবুক নিয়ে, মদ্যপান আর বাওয়ালি এবং কিছু কাজকর্ম নিয়ে এই নয়া সাল চাঙ্গাই কাটবে আশা করি। আশাটাই শুধু করতে পারি বস্। বাকি সব বিগ বসে্র হাতে।
চল ২০১১ তো এন্ট্রি মেরেই দিয়েছে। একটু ল্যাদ খাওয়া যাক্। আবার পরে ভাটানো যাবে।
No comments: