একটি নির্জন ঘরের
মধ্যে, বিছানায় বসে,
ল্যাপটপে আমি
চলচ্চিত্র দেখি, মধ্যরাতে।
চলচিত্রের
রোমান্টিক গানের মতো রাত্রিটা
বয়ে যাচ্ছে চৈত্রের
বুকের ওপর দিয়ে।
ধু ধু বাতাস যেন
খেই হারিয়ে বসে আছে
দূরমাঠে কোনও এক
বটগাছের শেকড়ের ঝুড়িতে।
একটি অর্ধবৃত্তাকার
জ্যামিতি নির্বোধের মতো
তাকিয়ে আছে এক
দৃষ্টিতে
কোনও ষোল বয়সী
রূপসীর
আত্মবিশ্বাসহীন
হাসির মতো।
ছবির বিষণ্ণ
লিরিক্সগুলো
এ ওর গায়ে ঠোকাঠুকি
করতে করতে
পায়চারি করছে
নিঃস্ব বারান্দায়।
বখাটে জ্যোৎস্নার
এই উন্মাদ রাতে
জিরো পাওয়ারের
বাল্বগুলিরও আজ ছুটি।
ভূমধ্যসাগর থেকে
ভেসে আসা স্ফীত ঢেউগুলি
উড়ছে মেঘের ওপর
দিয়ে;
আর মেঘ ঝুঁকে পড়ছে
কোথাও জল ছুঁই ছুঁই, ঝিলের দিকে।
ক্ষুধার্ত পেটের
মধ্যে হঠাৎ মুচড়ে-ওঠা একটা দহন
অপহৃত নাবালক আর
কিছু পরকীয়া বন্ধুত্বপ্রবণ
বেঁধে নেয় অন্য এক
চিন্তাসংকলন।
অনায়াসে বহু
হৃদয়ের সাথে গড়ে তোলা যুক্তরাজ্যগুলি;
পৃষ্ঠা খোলে আমার
সংশয়-রচিত দৃশ্যপাঠে।
দূর থেকে দেখা যায়
তোমার উড়ন্ত চুল
অবাধ্য হতে হতেই
আবার পোষ মেনে যাচ্ছে।
তোমার নিঃসঙ্গ
হৃদয়ের মধ্যে
দুপুরের সেই
নির্ঘুম শান্ত অজগরটি শুয়ে আছে;
যার হঠাত জেগে ওঠা নিঃশ্বাস,
আমাকে উড়িয়ে নেয়
সেই আকাশের বুকে
যেখানে পাখিরা, ঐ সাদাকালো চলচিত্রটির মতো
ক্লান্তিহীন উড়ছে, উড়ছে,আর উড়ছে।
No comments: