যারা এখনো শুধুই বন্ধু, বন্ধুর চেয়ে বেশী হয়েও অন্ধ, কিংবা জানালার একটা পাল্লা বন্ধ, একটু ভাল আর একটু মন্দ

তাদের জন্যেই কিছু এবড়ো খেবড়ো ছন্দ, তাদের জন্য কবিতা-গল্প, অল্প স্বল্প প্রেম, আড্ডা, হঠাৎ মেঘ এবং বৃষ্টি।

আয় বৃষ্টি ঝেপে

অফিস থেকে ঘরে ফেরার পথে
উঠে পড়ি জলন্ধর লোকালে।
গাদাগাদির সৌজন্যে ভেতরে ঢোকার সৌভাগ্য করে দেয়নি কেউ।
না কোনও মানুষ, না কোনও মাতাল।
দরজার পাশে বঞ্চিত সরীসৃপের মত এগিয়ে গেলাম।
একটু জায়গা, একটু জায়গার বড় আকাল।
একটার পর একটা স্টেশন গেল।
নিজের নিঃশ্বাস কে আরও তীব্র মনে হল।
নিজেরটা তীব্র অসন্তোষ মেনে নিলেও
আর যেগুলো ভেসে আসছে প্রত্যেকটার অন্যরকম বহর।
আমি না পারলেও কখনো কখনো ঢুকে যায় কিছু অক্ষর।
খেয়াল করিনি ডান পায়ের গোড়ালি বেশ খানিকটা ছুলে গেছে।
চলন্ত ট্রেন এর হাতলে ছুঁয়ে গেছে দুটো ভিন্ন লিঙ্গের হাত।
কিশোরীর চোখ তখন আটকে গেছে
এক শহুরে বাউলের চোখে।
বৃষ্টির ছাট এসে বার বার ভিজিয়ে দিচ্ছে
কিশোরের বুকের অপরিণত সরলরেখাকে।
কিশোরী চোখের ভাষায় বলছে,
আর মাত্র দুটো স্টেশন, আমি কি একটু অবাধ্য হতে পারি?”
বৃষ্টি থামলে কি হবে, বাউলের পা জড়িয়ে আসছে,

মন চাইছে আয় বৃষ্টি ঝেপে।

No comments: